বলীপাড়া ইউনিয়নটি তৎকালীন পাকিস্তান আমলে ১৯৬২ সালে সৈকংজে পাড়াকে (বর্তমান- বলীপাড়া) কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । আদিকালে আমাদের বয়োজৈষ্ঠদের কাছ থেকে গল্প কাহিনী শুনেছি যে, ইউনিয়নের প্রথম দিকে বলীপাড়া গ্রামটি সর্বপরিচিত ছিল। প্রতিস্থা পরবর্তী কালে অনেক বাঙগালী গোষ্ঠি এলাকার লোকদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও চাহিদা মিটানোর জন্য পন্য দ্রব্য নদীর পথে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করে । এলাকাবাসী তখন শুধু মাত্র জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত। এক বছর এক পরিবার জুম চাষ করার জন্য জুমের অবস্থান নিলে ঐ পরিবারের এক যুবতি মেয়েকে এক জঙ্গল মানুষ (মারমাদের ভাষায়- তলুঃ বলে) জুম খামার বাড়ী থেকে মা-বাবা ধান কাটার সময় তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে এক বছর কাছাকাছি সময় পর্যন্ত নিখোঁজ হয়ে যায়। একদিন বলীপাড়া কয়েক পুরুষ জঙ্গলে বাঁশ কাটার জন্য যায়। তখন তারা ঐ হারিয়ে যাওয়া যুবতিকে দেখতে পায়। এ অবস্থায় গ্রামবাসী একদিন রাত্রে গিয়ে জঙ্গলে হামলা করে হারিয়ে যাওয়া যুবতি মেয়েকে নিয়ে আসে। নিয়ে আসার সময় সে গর্ভবতী ছিল। কালক্রমে সময়মত একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়। সে ছেলে একদিন বড় হয় এবং বলিষ্ঠ ব্যক্তিসম্পন্ন যুবকের পরিণত হয়। কালক্রমে যুবক হলে জীবন ধারণের জন্য সে বিভিন্ন কাজ করতে শুরু করে। পরবর্তীতে সে (যুবক ছেলেটি) জুম থেকে প্রাপ্ত ফসলগুলো বাঙ্গালীদের কাছে বিক্রি করে। একদিন বাঙ্গালীদের সাথে ঐ যুবকের পরিবহন বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়। সে সময় সে বাঙ্গালীদের নৌকা পাহাড়ের তুলে ফেলে দেয় এবং ৫০টি কলা ছড়া বহন করতে দেখে বাঙ্গালীরা পরবর্তীতে যেহেতু যুবকটি খুবই বলীয়ান হওয়া বাঙ্গালীরা সৈকেংজে পাড়াকে বলীপাড়া নামে নামকরণ করে। এরপর থেকে সৈকংজৈ পাড়াটি বাঙ্গালীদের ডাক নামে বলীপাড়া পরিণত হয়। অত:পর ঐ বলীপাড়াকে কেন্দ্র করে বর্তমান বলীপাড়া ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS